Subtitles

একটু অন্যরকম স্বাদ পাবেন এই মুভিটা দেখে – EMSubtitle

আমি এমনিতেই থ্রিলার আর হরর টাইপের মুভি এড়িয়ে চলি। আমার পরান অত ধকল সহ্য করতে পারে না😑😑। কিন্তু এই মুভিটা দেখার সময় একটা অন্য রকম অনুভূতি হয়েছিল আমার। আর সেটা হলো, মনের মধ্যে সাহস আর ধৈর্য থাকলে যেকোনও ভয়ঙ্কর বিপত্তিরও মোকাবিলা করা সম্ভব।

যখন আমি উইকিপিডিয়াতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে মুভিটা অস্কারের জন্য নমিনেশন পেয়েছিল, আহাতখন কি আর জানতুম যে এইটা আসলেই একটা থ্রিলার টাইপের মুভি?😖 আমার মনে হয়, যারা থ্রিলার মুভি ভালোবাসেন, তারা একটু অন্যরকম স্বাদ পাবেন মুভিটা দেখে।

একটু অন্যরকম স্বাদ পাবেন মুভিটা দেখে

মুভিটা দেখে দারুণ ভয় পেয়েছিলাম আর এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টা ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। ভৌতিক টাইপ, কিন্তু আদতে তা নয়। প্রথম প্রথম একটু স্লো লাগলেও আস্তে আস্তে দইয়ের মতো মুভিটা জমতে শুরু করলো যেন। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই মুভিটা। খুব টেনশন হচ্ছিল যে কি হবে কি হবে এমন একটা ভাব। এই টেনশনটা মুভির ক্লাইম্যাক্স অবধি দারুণভাবে ছিল। এই ব্যাপারটার জন্যই আমি এটাকে 10/10 দিতে বাধ্য হয়েছি।

  • Movie name: Coraline
  • Genre: Animation, Thriller, Dark Fantasy, Adventure, Drama, Family
  • Runtime: 100 minutes
  • Rotten Tomato Rating: 90
  • IMDB Rating: 77
  • Personal rating: 10
  • Year: 2009
  • Country: United States
  • Language: English
  • Director & Writer: Henry Selick
  • Based on : “Coraline” নামের একটা উপন্যাস যেটা লিখেছেন Neil Gaiman

এগারো বছর বয়সী নীল চুলের একটা মেয়ে Coraline Jones (কোরালাইন জোন্স) তার বাবা মায়ের সাথে অরেগন শহরের “পিঙ্ক প্যালেস” নামের একটা বাড়িতে আসে। তার বাবা মা এতটাই ব্যস্ত যে তাকে ঠিকঠাক সময়ও দিতে পারেনা।কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত কোরালাইনের বাবা নতুন বাড়ির কোথায় কি আছে সেগুলো একটা নোটবুকে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দিলে কোরালাইন সারা বাড়ি ঘুরে একটা ছোট্ট তালাবদ্ধ দরজা দেখতে পায়। কোরালাইনের পীড়াপীড়িতে তার মা দরজা টা খুলে ত দেয়ই।

কিন্তু সেখানে শুধু ইট ছাড়া কিচ্ছু ছিল না

খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ে কোরালাইন। কিছুখন পরে সে তার প্রতিবেশী, সার্কাস প্রশিক্ষক আলেকজান্ডার বোবিন্সকি; দুজন অবসরপ্রাপ্ত অভিনেত্রী এপ্রিল আর মিরিয়াম এবং ওয়াইবর্ন (ওয়াইবি) এবং একটা কালো বিড়ালের সাথে পরিচিত হয়। সবাই তাকে কোনো একটা ব্যাপারে সতর্ক করে। ওয়াইবির কাছ থেকে কোরালাইন জানতে পারে যে তার দাদিমা রা একসময় ঐ পিঙ্ক প্যালেসে থাকতেন এবং ছোটবেলায় তার দাদিমার যমজ বোন ঐ বাড়ি থেকে হঠাত্ গায়েব হয়ে গেছিল।

সেদিন বিকেলেই ওয়াইবি অবিকল কোরালাইনের মতো দেখতে একটা পুতুল তার দাদিমার বাক্সে দেখতে পেয়ে সেটা কোরালাইনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। যাই হোক্, রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তখন কিছু অদ্ভুত ইঁদুর কোরালাইনকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আনে সেই রহস্যময় দরজার সামনে। কিন্তু একি?!! কোথায় ইট? এ ত দেখি একটা পথ। যেটার মাধ্যমে কোরালাইন এক “অন্য জগতে” এসে পড়ে। সেখানে তার বাবা মা তাকে সময় ত দিচ্ছে, ভালো ত বাসছে, কিন্তু তাদের চোখগুলো বোতামের।

মানুষ ত স্নেহ ভালোবাসার কাঙাল। কোরালাইনও ঠিক তাই। তবুও কি সে ঐ বোতাম চোখওয়ালা মা বাবার কাছেই থাকবে? নাকি তার আসল বাবা মায়ের কাছে ই ফিরে আসবে? স্নেহ ভালবাসার লোভে কোরালাইন নতুন কোনও বিপদের সম্মুখীন হবে না ত? তার প্রতিবেশীরা কিসের ব্যাপারে তাকে সতর্ক করছিল? ওয়াইবির দাদিমার যমজ বোন কিভাবে গায়েব হয়েছিল? কোরালাইনের মতো দেখতে ঐ পুতুলের রহস্য কী? অন্য জগতের অন্য বাবামায়ের রহস্য কী? কেনই বা তাদের চোখগুলো বোতামের? জানতে চাইলে মুভিটা দেখে ফেলুন।

এই মুভিতে রয়েছে

●কোরাইলাইন এর ভয়েস দিয়েছেন Dakota Fanning (ইনি “টোয়াইলাইট সাগা”য়ও ছিলেন, জেন ভল্টুরির চরিত্রে। তারপর ঘিবলির অন্যতম মাস্টারপিস “টোটোরো” তে সাতসুকি র ভয়েসটাও ইনিই দিয়েছিলেন এবং তিনি বাস্তবে ম্যালেফিসেন্ট মুভির অরোরা র অভিনয় যিনি করেছেন, সেই Elle Fanning এর আপন বড় বোন);

●বোবিন্সকি র চরিত্রে Ian McShane (যিনি Pirates of the Caribbean on the stranger tides মুভিতে Blackbeard চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং kung fu panda মুভিতে Tai lung এর ভয়েস দিয়েছিলেন)

●কালো বিড়ালের চরিত্রে Keith David (যিনি princess and the frog মুভির ভিলেন Dr Facilier এর ভয়েস দিয়েছিলেন)

●এপ্রিল এর চরিত্রে Jennifer Saunders (যিনি shrek 2 মুভিতে evil fairy godmother; minions মুভিতে queen Elizabeth II এর ভয়েস দিয়েছিলেন)

●কোরালাইনের আম্মুর চরিত্রে Teri Hatcher

আমি বেজায় ভয় পেয়েছি মুভিটা দেখে। ভয়ঙ্কর সুন্দর লেগেছে মুভিটা😨😍 আশা করি, আপনাদেরও মুভিটা ভালো লাগবে। Happy watching 😊😊

Source link